ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ‘ক্যাসিনো সম্রাট’খ্যাত ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট ও তার সহযোগী যুবলীগ দক্ষিণের বহিষ্কৃত সহ-সভাপতি এনামুল হক আরমানের বিরুদ্ধে মাদক আইনে করা মামলায় অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য ৭ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।
সোমবার (৩০ নভেম্বর) ঢাকার ৭ম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ তেহসিন ইফতেখারের আদালতে মামলার অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন কারাগার থেকে আরমানকে হাজির করা হয়। কিন্তু অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি থাকায় সম্রাটকে হাজির করা সম্ভব হয়নি। এজন্য রাষ্ট্রপক্ষ সময়ের আবেদন করে। বিচারক সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে নতুন এ দিন ধার্য করেন।
এর আগে গত ২০ অক্টোবর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ মাদক মামলার অভিযোগপত্র আমলে নেন। এরপর বিচারের জন্য মামলাটি ৭ম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে বদলির আদেশ দেন।
গত ৯ ডিসেম্বর রাজধানীর রমনা থানায় মাদক আইনে করা মামলায় সম্রাট ও এনামুল হক আরমানের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা র্যাব-১ এর উপপরিদর্শক আবদুল হালিম।
উল্লেখ্য, গত বছর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরুর পর সম্রাটের উঠে আসে। এরপর থেকেই তাকে নিয়ে নানা গুঞ্জন শুরু হয়। অভিযান শুরুর পর হাইপ্রোফাইল কয়েকজন গ্রেফতার হলেও খোঁজ মিলছিল না সম্রাটের। এসবের মধ্যে তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
৬ অক্টোবর কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জুশ্রীপুর গ্রামে আত্মগোপনে থাকা সম্রাট ও আরমানকে গ্রেফতার করে র্যাব। পরে ঢাকায় এনে তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
ওইদিন দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলমের নেতৃত্বে বাহিনীটির একটি দল কাকরাইলে ভূঁইয়া ট্রেড সেন্টারে সম্রাটের কার্যালয়ে অভিযান শুরু করে। কার্যালয়ে পশুর চামড়া রাখার দায়ে তার ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
এছাড়া, রমনা মডেল থানায় সম্রাট ও আরমানের বিরুদ্ধে মামলা করেন র্যাব-১ এর ডিএডি আব্দুল খালেক।